আরব রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হলে কি সন্ত্রাসী পরাজিত হতো?
তারা তো ১৯৬৭ সালে একত্রিত হয়ে মাত্র ছয় দিনে নিজেই পরাজিত হয়ে যায়। তারপর থেকে আর কোন সাহস করেনি।
কারণ এর আগে ১৯৪৮ সালে এবং ১৯৫৯ সালে দুই দুইবার পরাজিত হয়েছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় গাদ্দার রাষ্ট্রগুলো (মিশর, জর্ডান) ছিলো সেই সময়ের ফ্রন্ট লাইনার।
তারা সেই সময় ভাষণ দিয়ে বলেছিলো, সব আরব ভাই ভাই - আমরা সবাই এক। তাই একত্রে সম্মিলিত শত্রুকে পরাজিত করবো।
ফলাফল ঋণাত্মক তারা আরও ভূমি হারায় এবং অপমানিত হয়ে তাদের দোসরে পরিণত হয়।
বর্তমানে আগের তুলনায় প্রযুক্তিগত দক্ষতার গ্যাপ কমে এসেছে। কিন্তু যেহেতু তাদের তাদের অস্ত্র আমেরিকার থেকে কেনা, আমেরিকার বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা যাবে না। আর এখন তাদের দেশে আছে মার্কিন সেনা ঘাঁটি। সুতরাং এই পরাজিত জাতি এই পরাধীন অবস্থায় আবার যুদ্ধ করবে এই স্বপ্ন দিবা স্বপ্ন।
আপনি কি কল্পনা করছেন তাহলে বাণিজ্য যুদ্ধ করলে তো হয়। সেইটা করেছিলো তো ১৯৬৭ এর পরে। সেজন্যই তো ওপেক তৈরি হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রেও তারা বিফল হয়।
ফলাফল আরও খারাপ। ১৯৭১ সালে তারা পেট্রো ডলার চুক্তি করে।
কীভাবে আশা করেন যে তারা স্বাধীনভাবে লড়াই করবে?
সেই তুলনায় শিয়া ব্লকের দিকে তাকান। তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি আছে। ড্রোন থেকে শুরু করে মিসাইল, রাইফেল থেকে শুরু করে ট্যাঙ্ক বিস্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি অনেক কিছু তারা নিজেরা তৈরি করতে পেরেছে। সেজন্য তাদের কাউকে গুণতে লাগে না। এমনকি আরবের সবচেয়ে দরিদ্র রাষ্ট্র ইয়েমেনের হুতিদের নিজস্ব প্রযুক্তি আছে। দিন দিন প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধন করছে।
এমনকি বর্তমানেও লেবানন প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকাতে তারা অনেক শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছে। অছচ ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাকি সুন্নি আরব রাষ্ট্র গুলো নিজস্ব প্রযুক্তিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে নাই। কেবল আছে কিছু কেনা অস্ত্র যা মনিবের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। সব মিলিয়ে তাদের অস্ত্র এবং আর্মি সাদা হাতির মতন যা বিপদের দিনে কাজে আসে না কিন্তু সুদিনে অর্থনৈতিক বোঝার ভার তৈরি করে।
#world
Abrar Hasan
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?