Discover postsExplore captivating content and diverse perspectives on our Discover page. Uncover fresh ideas and engage in meaningful conversations
সফলতা মানে কী?
এবং এখানে কতটা সময়, অর্থ, ও শ্রম বিনিয়োগ করতে হবে? অনেক মানুষকে দেখি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে কিছুদিন পর তা পরিবর্তন করে। তারা সব সময় বলে তাদের সিস্টেমই সেরা। যদি প্রতিটি সিস্টেম থেকেই সফল হওয়ার সমান সুযোগ থাকত, তাহলে মানুষ একটা নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে কাজ করত। এতগুলো প্ল্যাটফর্ম কেন, এবং মানুষ একটা ছেড়ে আরেকটায় কেন যায়?
আমার জানামতে, আজ পর্যন্ত আমি এমন কোনো লিডার বা ব্যক্তিকে দেখিনি, যারা এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করে লক্ষ্য অনুযায়ী কোটি টাকা উপার্জন করেছে এবং প্রচুর মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এ ধরনের মানুষ খুবই কম হতে পারে, হয়তো ০.৫% বা ১%।
কিন্তু বাকি ৯৯% মানুষ শুধু স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য তারা নির্ধারিত লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। কেউ ৫ ডলার আয় করে হারিয়ে যায়, কেউ ১৫ ডলারে খুশি হয়ে থেমে যায়, আবার কেউ ৫০ ডলারে পৌঁছে আর খোঁজই থাকে না।
অনেকেই সামান্য কিছু ইনভেস্ট করে কাজ শুরু করে। কিন্তু যখন সেই ইনভেস্টমেন্ট উঠে যায় বা সামান্য প্রফিট পায়, তখনই তারা সরে দাঁড়ায়। এখানে টিম গঠন, টিম ধরে রাখা, মিটিং করা, টিম মেম্বারদের মোটিভেশন দেওয়া—এগুলো অনেক কঠিন এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।
তাই সফলতার জন্য সময়, শ্রম এবং পরিকল্পনার সঠিক সমন্বয় করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে সত্যিকার অর্থে বড় কিছু অর্জন করতে চাইলে শুধু স্বপ্ন দেখা নয়, সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য ধৈর্য, মনোযোগ এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন।
আপনার লক্ষ্য কী?
আপনি কি সেই ০.৫% এর একজন হতে চান?
দেশ প্রেমিক হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় আশা এই সরকার কোন দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতেতো পারেনি উল্টো শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করে মার্কা মারা লোকদের উপদেষ্টা নিয়োগে ব্যস্ত লজ্জা লজ্জা জাতির জন্য ইহা বড্ড লজ্জার ব্যাপার।
জনগণের পক্ষ থেকে বলতে চাই ক্ষমতাই কে বসলো না বসলো সেটা দেখার বিষয় না ইনকাম ট্যাক্স সহ সকল ধরনের ট্যাক্স ৫% এর নিচে নামিয়ে আনার জোর দাবি জানাচ্ছি...
ট্যাক্স এর মাধ্যমে জনগণের গলায় রশি দিয়ে অনেক ঘুরানো হয়েছে আর না এবার গলার রশি শিথিল করতে হবে অথবা খুলে দিতে হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠাইছে তার ইবাদত করার জন্য তার গোলামী করার জন্য এবং দুনিয়ার প্রতিটি কাজের হিসাব একমাত্র তার কাছেই দিতে হবে। এবং দিনশেষে তার কাছে আমাদেরকে সবার ফিরে যেতে হবে।
মাঝখানে উচ্চ ট্যাক্স এর মাধ্যমে জনগণকে গোলাম করে রাখার যে মিথ্যা চেষ্টা এটা জনগণ রুখে দিতে চায়।
যারা ট্যাক্স এর মাধ্যমে জনগণকে গোলাম করে রাখার পক্ষে আছেন তাদেরকে বলতে চাই আপনাকে যে ৫০০% পর্যন্ত ট্যাক্স জনগণ দেবে এর জন্য আপনার কাছ থেকে জনগণ কি পাবে?
না মানুষের জীবনে নিরাপত্তা দিতে পারছেন না মানুষের অর্থ সম্পদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না মানুষের সু চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছেন না মানুষের চলাচলের টেকসই প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করতে পারছেন জনগণকে কি দিতে পারছেন বলেন? এমনকি প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশটাকেও ঠিক ঠাক রক্ষা করতে পারেননি। এবার আপনারাই বলেন কিসের আশায় কিসের উদ্দেশ্যে কিসের নেশায় আপনাদেরকে জনগণের রক্ত পানি করে ইনকাম করা টাকা আপনাকে দিবে?
স্বামী-স্ত্রী কখনো দীর্ঘদিন দূরে থাকবেন না।
.
বিয়ের পর দয়া করে স্বামী-স্ত্রী বেশিদিন দূরে থাকবেন না। বিস্বাস করুন ভালো থাকার জন্য অনেক বেশি টাকার দরকার একদম-ই নেই। দরকার আপনার ভালোবাসার।
.
জীবন থেকে যে একটা সেকেন্ড চলে যায় সেটা আমরা আর কখনো ফিরে পাই না। আর আপনি বছরের পর বছর স্ত্রী, সন্তান রেখে বহুদূরে পরে আছেন!
.
এই কি জীবন? কোথায় সুখ? কোথায় আপনার স্ত্রীর জন্য ভালোবাসা? কোথায় সন্তানের জন্য স্নেহ?
.
হ্যাঁ, টাকা-পয়সা জীবনে অনেক দরকার কিন্তু; ভেবে দেখেন তো সারাদিনে ৩০০ টাকা রোজগার করা মানুষটা যখন দিনশেষে বাসায় ফিরে তার সামনে পানি দেওয়ার জন্য একজন মানুষ আছে, সে রাতে তার স্ত্রী, সন্তানদের পাশে ঘুমাতে পারে, তার অসুস্থতায় তার স্ত্রী তাকে সেবা করে, তার সন্তান দূর থেকে তাকে দেখে দৌড়ে এসে কোলে ওঠে।
.
কোনো নারীর জীবন থেকে এমন সময় কেঁড়ে নিবেন না যে সময়টায় সে শুধু আপনাকে কাছে চায়।
.
বাইরে গেলে যখন তার চোখে পরে পাঞ্জাবি পরা কোনো এক ছেলে তার প্রিয়তমার হাত ধরে রাস্তা পার করে দিচ্ছে, তখন আপনার স্ত্রীর ভেতর থেকে দীর্ঘস্বাস বের হওয়া ছাড়া আর কিছু-ই করার থাকে না।
..
আপনি সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা রোজগার করে বউকে দামী শাড়ি আর গহনা-ই পরিয়ে গেলেন। কিন্তু যে সময়গুলো আপনারা হারিয়েছেন সেটা আর আসবে না কোনোদিন। উত্তপ্ত প্রেম টাকার তলায় চাপা দিয়ে দিলেন।
.
আপনার সন্তান যখন রাস্তায় দেখে কোনো বাবা তার ছেলেকে রঙিন বেলুন কিনে দিচ্ছে, তখন সে আপনাকে খোঁজে।
.
সন্তান যখন দেখে তার বয়সী বাচ্চা তার বাবার হাত ধরে মাদ্রাসাই যাচ্ছে তখন সে আপনাকে খুব মিস করে।
সন্তানের জন্য মাসে এতো হাজার টাকা না পাঠিয়ে হাত ধরে মাদ্রাসাই দিয়ে আসুন।
.
সে আপনার আদর্শে বড় হবে। তখন সে আপনার কাছে ৫ টাকার প্রয়োজনে ১০ টাকা চাইবে না। বরং ১০ টাকার কাজ টা ৫ টাকায় মিটমাট করার চেষ্টা করবে।
.
কাজের চাপে আপনি সারাদিনে বউকে মনে করার তেমন সময়ও পান না অনেক সময়। এদিকে দুপুরের নাওয়া-খাওয়া শেষ করার পর আপনার স্ত্রীর অলস বিকালে আর সন্ধ্যা নেমে আসতে চায় না।
জানালা দিয়ে সে বাইরে তাকিয়ে দূরের ঐ নীল আকাশে রং বেরঙের কত কী দেখে। দেখে না শুধু আপনাকে।
.
মাঝরাতে ঘুম ভাঙার পর বাম পাশে আপনাকে না পেয়ে বুকে আকাশ সমান বোঝা নিয়ে আপনার স্ত্রী ঘুমিয়ে যায়। এভাবেই আপনার বয়স ৫০ পেড়িয়ে যাবে, স্ত্রীর চোখ ধূসর হয়ে আসবে।
.
হলো না আপনাদের কদম হাতে বৃষ্টিতে ভেজা।
আর হলো না আঁকাবাকা রাস্তায় পা মিলিয়ে সামনে হাটা। হলো না সন্তান বুকে নিয়ে ঘুমানো।
.
হলো টাকার পাহাড়, বিষের পাহাড়, বিষাদের পাহাড়। যার চাপায় পিষে যাবে কতগুলো রঙিন স্বপ্ন, পিষে যাবে স্ত্রীর প্রেম, খসে যাবে আপনার যৌবন।💞👫💕